October 10, 2024, 2:22 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

রংপুর কল্যাণী ইউপি ৫ ও ৮নং ওয়ার্ডে শতবর্ষী চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ ও সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ

রংপুর ব্যুরো:

রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানাধীন ১নং কল্যাণী ইউনিয়নের ৫ ও ৮নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মরহুম আজিজার রহমানের পুত্র আব্দুল মজিদ (৪৬) ও মনোয়ারা বেগমের পুত্র মনোয়ার হোসেন (৪০) জন্মসুত্রে উল্লেখিত ঠিকানার স্বচাষ তালতলা দাখিল মাদ্রাসা মাঠের পূর্বদিকে বসবাস করে আসছেন। স্থানীয়রা বলছেন দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর যাবত একই বাড়িতে আছে মজিদ মনোয়ারের পরিবার। মজিদের দাদা মরহুম আব্দুল হাকিম এবং বাবা আজিজার রহমান এ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘ ষাট বছর যাবত যে রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করে আসছিলেন মজিদ মনোয়ারের পরিবার। আকস্মিকভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী ভন্ড কবিরাজ বেলালের কুট কৌশলে, তাদের বাড়িতে যাতায়াতের শতবর্ষী রাস্তার উপরে দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে, দুটি পরিবারকে চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, চলমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি পর্যন্ত বের হবার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে প্রতিবেশী মরহুম মোহাম্মদ হাজীর ছেলে আমিরুল ও তার ভগ্নিপতি ভন্ড কবিরাজ বেলাল এবং স্বচাষ তালতলা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি।
স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই মজিদের পরিবার উল্লেখিত জায়গার স্থায়ী বাসিন্দা, এক কথায় মজিদের বাবা মরহুম আজিজার রহমান ও মনোয়ারের মাতা মনোয়ারা বেগমের শৈশব কেটেছে এই বাড়িতে। ৬০ এর দশকে মজিদের দাদা মরহুম আব্দুল হাকিম ভূমিহীন ছিলেন বলেই, স্বচাষ তালতলা দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ক্বারী সাইদুর রহমান সাহেব, মাদ্রাসার পুর্ব কর্ণারে তার নিজ সম্পত্তিতে থাকতে দেন। পরে ১৯৭৮ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ১০১৪১নং দলিলমুলে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন মজিদের দাদা। ১৯৭৮ সালের সেই দলিলে বর্ণিত তফসিলে স্পষ্ট বাংলায় লেখা আছে, পূর্বদিকে রাস্তার সংগে ৯ শতক জমি ক্রয় করেন, মজিদের দাদা মরহুম আব্দুল হাকিম।
অদৃশ্য কারণে ৭৮ সালে মরহুম সাইদুর রহমান ক্বারী সাহেব হুজুরের মতো একজন নির্লোভ নিরহংকার মানুষের দলিলে উল্লেখিত ঐতিহ্যপুর্ণ শতবর্ষী সেই পুরনো রাস্তাটি খুঁজে পায়নি, ১নং কল্যাণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম ও তার পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য টাকুয়া শফিকুলসহ অন্যান্য ওয়ার্ড মেম্বাররা। ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম এই রাস্তা খুঁজতে শালিস বিচারে বসেন প্রায় ৮/১০ বার। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করেনি তিনি। এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও এই শতবর্ষী রাস্তা টিকাবার আস্থা অর্জনে সময় দিয়েছেন অনেক। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে মজিদের ৯ ও আমিরুলের দেড় শতাংশ জমি বুঝ করতে প্রায় ১৫/২০ বার সার্ভেয়ার আনেন দুই পরিবার। সহজ কথায় রাস্তার জমির যা মুল্য হবেনা, তার চাইতে বেশী টাকা খরচ করেছেন মজিদ ও আমিরুল। চলমান আর্থিক ক্ষতির চরম পর্যায়ে ভন্ড কবিরাজ বেলাল ও স্থানীয় পাতি নেতাদের পিড়াপিড়িতে শতবর্ষী সড়কে নির্মাণ করা হয় দেয়াল! গভীর তদন্তে গণমাধ্যমকর্মীরা এই দেয়াল নির্মাণের কোন কারণ খুঁজে পায়নি। অথচ তিন পুরুষের জীবন অতিবাহিত হয়েছে এই বাড়িতেই।
হঠাৎ করেই কাউকে না জানিয়ে জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি কিনে নেন আমিরুল ইসলাম। সুযোগ বুঝে স্থানীয় ১নং কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য টাকুয়া শফিকুল। শতবর্ষী সড়কের উপরে দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে, বেশ কয়েকটি গরীব অসহায় কৃষক পরিবারকে তাদের পথাধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। যাহা ফৌজদারি কা:বি:১৩৩ ধারার সম্পুর্ন অবমাননা।

২০২৩ এসে আজকের স্মার্ট বাংলাদেশে মানুষ যখন মানবতার দেয়াল নিয়ে ভাবছে। ঠিক সেই মুহুর্তে শতবর্ষী রাস্তায় “চীনের পিরামিড” আকৃতির এই দেয়াল মানবতা ও মানবাধিকারের কি কাজে আসছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অবৈধ দেয়াল নির্মাতার আপন বড়ভাই, ইসলামী ব্যাংকের অফিসার, মাওলানা আতারুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র একটি বিষয় নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি আমার নিজেরও পছন্দ নয়। তিনি আরও বলেন, দেয়াল নির্মাণের সময় ওখানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম ও মেম্বাররাসহ মাহিগঞ্জ থেকেও লোকজন আসছিলো। মাহিগঞ্জ থানার অফিসার ভ্যানসহ এসে দেখে গেছে। তারা চাইলেই এসব হত না। আসলে চরমহিংসার একপর্যায়ে এই দেয়ালটি এখানে দেয়া হয়েছে। মাওলানা আতারুল ইসলাম স্বীকার করেন, বাংলাদেশের ফৌজদারি কা:বি: ১৩৩ ধারা অবমাননা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মজিদ ও আমিরুল দুইজনেই আমাদের গ্রামের ছেলে, আমরা ওদেরকে ছোট বেলা থেকেই যতটুকু চিনি ও জানি তারা উভয়ই ভালো মনের অধিকারী। গ্রামের কেউই তাদের কোন খারাবি দেখেছে বলে আমাদের জানা নেই। হঠাৎ করেই ক্ষুদ্র একটি বিষয় নিয়ে দুই পরিবার যা করেছে, সেটার বড় ইন্ধনদাতা আমিরুলের ভগ্নিপতি ভন্ড কবিরাজ বেলাল। বেলালের সঙ্গে অনৈতিক সন্ধি করে জনপ্রতিনিধিরা যা করছেন, সেটি তাদের চরম ব্যর্থতা। কল্যাণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম ও তার পরিষদের প্রায় সকল ইউপি সদস্যসহ মাহিগঞ্জ বাজার থেকে আসা দেওয়ানীরা মন থেকে চাইলেই, আমিরুল ও মজিদের চলমান বিবাদ খুব সহজেই নিরসন করতে পারতো। কিন্তু তারা সেটি না করে দুই পক্ষের মাঝে বেশ উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্ম দেয়। যার ফলশ্রুতিতেই একাধিকবার মারামারির সৃষ্টি হয়। থানায় অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী আ: মজিদ। দুই পক্ষের অবস্থান যখন চরম পর্যায়ে ঠিক সেই মুহুর্তে আমিরুলের পক্ষ নেন ১নং কল্যাণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম ও তার পরিষদের ইউপি সদস্যসহ মাহিগঞ্জের মুন্না, সবুজ, কবরখানা এলাকার আলমের ছেলে মিলন ও অন্যন্য দেওয়ানীরা। টাকার বিনিময়ে এক তরফা বিচার করতে গিয়ে যখন তারা ব্যর্থ হয়েছে তখন উচিত ছিল উচ্চ আদালতে পাঠানো। কিন্তু তা না করে চেয়ারম্যান মেম্বার নেতারা মিলে, বাংলাদেশ ফৌজদারি কা:বি: ১৩৩নং ধারার প্রচলিত আইন চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছেন। তারা আরও বলেন, এমন একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনার, মুলহোতা মরহুম মোহাম্মদ হাজীর জামাতা, আমিরুলের ভগ্নিপতি নব্য টাকাওয়ালা ভন্ড কবিরাজ বেলাল। এই ভন্ডের গ্রামের বাড়ি রংপুর মহানগরীর ৩৩নং ওয়ার্ড’র রঘু বাজারে এক সময়ে এলাকার ছ্যাচড়া চোর নিজের অপকর্মের কারণে নিজ গ্রামে বসবাস করতে না পারায় শ্বশুর বাড়িতে এসে ঘর জামাই হিসাবে থাকেন। নিজের নাম সই করতে না জানলেও রাতের আধারেই বনে জান কবিরাজ। ভুয়া লাইসেন্স করেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, তারপর থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন ভণ্ডামি ব্যবসা। দুর দুরান্ত থেকে বাঁচার আকুতি নিয়ে ছুটে আসা মানুষগুলোর সর্বস্ব লুটে নিয়ে টাকার পাহাড় গড়েছেন এই ভন্ড। ইদানীং তার টাকার গরম বেশ শক্তিশালী! তার অনৈতিক কর্মকান্ডের ফলই হলো শতবর্ষী সড়কে পিড়ামিডের আদলে সৃষ্টি হওয়া এই দেয়াল। স্থানীয়রা আক্ষেপ করে আরও বলেন, এই ভন্ডের ভণ্ডামি ব্যবসার বিষয় মাহিগঞ্জ থানা পুলিশ অনেক আগে থেকেই অবগত! কিন্তু অদৃশ্য কারণে তারা কখনো এই প্রতারক-কে আইনের আওতায় আনেনি।
৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নেছার আহমেদ, ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির। ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ ও ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শামসুল আলম লিপু, মাহিগঞ্জ ধুম খাটিয়া এলাকার জনৈক আব্দুর রহমানের পুত্র মুন্না তার বন্ধু সবুজ, তালতলা কবরখানা এলাকার মিলনসহ স্থানীয় কয়েক জন স্থানীয় পাতি নেতাদের যোগসাজশে শতবর্ষী সড়কের উপরে ইটের দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে, অসহায় হতদরিদ্র মজিদ ও মনোয়ারের পরিবারকে এক ঘরে করে রেখেছেন। স্থানীয়দের এমন তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মীরা ছুটে যান “বিচার বঞ্চিত” অসহায় দিন মজুর আব্দুল মজিদের বাড়িতে। স্থানীয়দের প্রদ্বেয় ঠিকানা অনুযায়ী গিয়ে দেখা যায় পূর্ব দিকের পুরনো রাস্তার মাঝামাঝি ‘চিনের পীড়ামিড’ সম দেয়াল নির্মাণ করে মজিদের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্দ করে দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিকে তার বাড়িতে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। কারণ ওই সম্পত্তি স্বচাষ তালতলা দাখিল মাদ্রাসার হলেও স্থানীয় পাতি নেতাদের পরামর্শে দিন মজুর মসজিদকে শায়েস্তা করতে উঁচু করে মাটি দিয়ে প্রটেকশনের মাধ্যমে মজিদের বাড়ির পানি বন্ধের ষোলকলা পূর্ণ করেন মোহাম্মদ হাজীর ছেলে আমিরুল ইসলাম ও তার ভগ্নিপতি ভন্ড কবিরাজ বেলাল। নিরুপায় হয়েই গণমাধ্যমকর্মীরা মাদ্রাসার মাঠ দিয়ে এক প্রকার যুদ্ধ করে তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। বাড়িতে প্রবেশ করেই দেখা যায় পুব দুয়ারী ঘরের চৌকাঠ ধরে অঝর নয়নে বোবা কান্নায় কোঁদছেন এক নারী। হঠাৎ সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে চোখ মুছেই জিজ্ঞেস করেন আপনারা কারা? গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় নিশ্চিত হবার পরে, বসতে বলেন এবং চেয়ার ও পিড়ি দেন ঘরে বসার জন্য। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজেই গণমাধ্যমকর্মীদের বাড়ির চারিপাশ ঘুরে দেখান ভুক্তভোগী মজিদ। বাড়ির উঠানের পশ্চিম কর্ণারে দেখা যায় গরুর গোবরের স্তুপ (ভিড়া) পানিবন্দি থাকার কারণে পুরো উঠান জুড়ে গোবর পানি একাকার হয়ে আছে পুরো বাড়ি। দুর্গন্ধযুক্ত হাটু পানিতেই বন্দি প্রায় এক মাস।
দীর্ঘ আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মজিদের স্ত্রী রুজিনা বেগম। কান্নাজড়িত কন্ঠে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমার স্বামী আব্দুল মজিদ পেশায় একজন দিনমজুর। লেখাপড়া তেমন নেই মুর্খ সুর্খ মানুষ নরম ভাষায় কথা বলতে পারেনা, তাই অনেক সময় ভালো কথা বললেও অনেকের অপছন্দ হতে পারে। গুছিয়ে কথা বলতে না পারার অপরাধে আমার স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত হয়েই কল্যাণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম ও তার পরিষদের ৭/৮ টা মেম্বার ও মাহিগঞ্জ থেকে ভাড়া করে আনা কিছু লোকের অপতৎপরতায় আমাদের রাস্তা বন্দ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তিনি আরও বলেন, আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্দ করে দেয়ার বিষয়টি রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানা পুলিশ ও মাহিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজুল সাহেবও জানেন। তবে এ বিষয়ে মাহিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা: তাজুল ইসলাম প্রধান বলেন, তালতলা মাদ্রাসা সংলগ্ন মজিদ ও আমিরুলের সীমানা নিয়ে একাধিক শালীস হয়েছে, থানায়ও বসা হয়েছিল কিন্তু শতবর্ষী রাস্তায় দেয়াল নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করাটা মোটেও উচিত হয়নি। কোন অন্যায় অনিয়মের সাথে মাহিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই।
শতবর্ষী সড়কে রাস্তা নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি আসলে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দেখার দায়িত্ব হলো এসিল্যান্ড ও আদালতের। সিভিল বিষয় পুলিশের তেমন কিছুই করার থাকেনা। আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেটাই দেখি। তবে বিষয়টি আপনি এসিল্যান্ড পীরগাছাকে অবগত করুন। মজিদের মা, মরহুম আজিজার রহমানের বিধবা স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আজকে আমার স্বামী বেঁচে নাই বলেই আমাদের এতো ভোগান্তি! তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের পরিবারের উপর এতো জুলুম নির্যাতন করতে পারতো না চেয়ারম্যান মেম্বার ও দেওয়ানীরা। সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘বাবা হামরা গরীব মানুষ আল্লাহ ছাড়া হামার আর কাঁয়ো নাই’ মেম্বার চেয়ারম্যান দেওয়ানী, নেতা, থানা পুলিশ সবাই জানে তারপরেও আমাদেরকে জেলখানার মতন বন্দি করে রেখেছে। এটা কেমন আইন? এটা কেমন মানবতা? গরীবের জন্য কি কেউ নাই? আমরা কি বিচার পাবোনা? ইট গাথার সময় পুলিশ এসে দেখে গেছে অথচ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা দেশের সরকার, প্রশাসন, ও দেশের মানুষের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
শতবর্ষী সড়কে দেয়াল নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে ১নং কল্যাণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, প্রথমেই স্বীকার করেন যে, তার অনুমতি এবং সহায়তা ও সমর্থনেই নির্মাণ হয়েছে এই দেয়াল। “বর্তমান সরকার মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তা দিচ্ছেন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই মুহুর্তে এমন বে-আইনীভাবে দেয়াল নির্মাণের কারণে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অনেকেই মনোক্ষুণ্ণ হয়েছে, দোষ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ-কে” আপনি কি এই পুরনো রাস্তা বন্দ করে দেয়া ঠিক করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা পালটিয়ে বলেন, দেয়াল নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি কয়েকবার বিচার করে দিয়েছি। মজিদ আমার বিচার মানে নাই! চেয়ারম্যানের বিচার না মানলে দেশে কি আইন আদালত নাই, আপনার বিচার না মানলে আপনি কি রাস্তা বন্দ করে দিতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। ভুক্তভোগী মজিদ বলেন, আমি গরীব মানুষ গত নির্বাচনে আমি নুর আলমের ভোট করিনি বলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েই এসব করছেন। আমি চেয়ারম্যান এর চাল বুঝতে পেরে আমার অসহায়ত্বের কথা লিখিতভাবে রংপুর জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মোহাম্মদ মাহাবুবার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পীরগাছা উপজেলা এসিল্যান্ড, রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানাসহ অসংখ্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন বিচার পাইনি কারণ আমি গরীব এটাই আমার অপরাধ। (প্রথম পর্ব)

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর